বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী প্রতিবছর এশিয়া মহাদেশে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ মারা যায় এই অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্রান্স এর কারণে। অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকারে ফিরে আসতে পারে যক্ষা, টাইফয়েড এবং নিউমেনিয়ার মত মারাত্মক সব ব্যাধি। অতএব, ডাক্তারের সঠিক রোগ নির্ণয়ের পর অ্যান্টিবায়োটিকের প্রেসক্রিপশন, রোগীদের সেটা যথাযথভাবে সেবন, মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার না করা এবং সাধারণ সর্দি কাশিতে সেটা ব্যবহার না করা নিশ্চিত করতে হবে।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ প্রতি বছরের মত এ বছরও বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ন ও সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশ্বজুড়ে এই বছর যাবত ১৮-২৪ নভেম্বর অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। কর্মসূচীর আওতায় রয়েছে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন কলেজে সচেতনামূলক সেমিনার এবং হেলথ ক্যাম্পেইন, রাজশাহী শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে সচেতনতামূলক পোস্টার প্রদর্শন এবং সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
আজ সকাল ১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তালাইমারী ভবন হতে র্যালী শুরু হয়ে কাজলা ভবনে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুলতানা রাজিয়ার সঞ্চালনায় একটি সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে ফার্মেসী বিভাগের সম্মানিত কো- অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. একরামুল ইসলাম অ্যান্টিবায়োটিক ও এর রেজিস্ট্যান্স সর্ম্পকে তথ্যবহুল ও সায়েন্টিফিক দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিনিয়ত রেজিস্ট্যান্স হওয়ার এবং এর লাগামহীন বিস্তৃতির কারণসমূহের সুনিপুণ ব্যাখ্যা দেন। দেশীয় বাজারে সরবরাহকৃত অ্যান্টিবায়োটিকের গুণগত মান ও নিশ্চিতকরণের স্বার্থে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কর্তৃপক্ষদের এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করেন। সেমিনারটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম সাইদুর রহমান খান, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রাজশাহীর অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর জনাব মির্জা মো. আনোয়ারুল বাসেদ, জনাব মো: আমিনুর রহমান, এ.জি.এম, টিম ফার্মাসিউটিক্যাল, রাজশাহী, রেজিস্ট্রার ড. মো: মহিউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ড. মো: তারেক সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।