বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৪ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত  রেজিস্ট্রার ড. মো. মহিউদ্দীনের নেতৃত্বে সীমিত পরিপরে কাজলা ভবনের সেমিনার কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করা হয়। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। সেখানে অংশ নেন ইংরেজি বিভাগের সহাকারি অধ্যাপক আবু জাফর মো. সাদীসহ বিশ্ববিদ্যালইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপদেষ্টা ড. এম. সাইদুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে অনলাইন আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। সে আলোচনায় অংশ নেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. তারিক সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য ও ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শহিদুর রহমান, রেজিস্ট্রার ড. মো. মহিউদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কো-অর্ডিনেটর ও শিক্ষকবৃন্দ। 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। ড. এম. সাইদুর রহমান খান তাঁর বক্তব্যে বাঙ্গালীর আরো অনেক বিখ্যাত নেতাদের সাথে তুলনামূলক আলোচনায় বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং প্রতিবাদী। অন্যায়কে কখনোই তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। তিনি ছিলেন একাধারে সাহসী, নি:স্বার্থ, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়ীক, উদার ও জাতীয়তাবাদী। জাতির জনকের সাহসিকতার উপর ভর করেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেওয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করে থাকেন।