বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপন

নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উদযাপন করেছে মহান বিজয় দিবস। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে সকাল ৯টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়।

এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার-এর নেতৃত্বে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক হতে যাত্রা শুরু করে চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

এরপরে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান ও রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল। আরও উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডীন, বিভাগীয় প্রধান এবং কো-অর্ডিনেটরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

সভায় বক্তারা- ভাষা আন্দোলন, সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, তরুন প্রজন্মের দেশের প্রতি কর্তব্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল বলেন, ‘স্বাধীনতা রক্ষা করাটা বেশি কঠিন। যেটা সত্য সেটা স্বিকার করতে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হলে নিজের কাজ সঠিক ও সততার সাথে করতে হবে।’

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সালে মরনপণ যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয় নি। এর জন্য আমাদের দীর্ঘ প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তি সংগ্রাম দুটি ধারণা, দুটি প্রত্যয়। মুক্তি সংগ্রাম দীর্ঘ মেয়াদী আর মুক্তিযুদ্ধ একটি সর্বশেষ পর্যায়।’

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. এম. ওসমান গনি তালুকদার তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাকিস্তানের মাথা পিছু আয় ১৬৫৮ ডলার এবং বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় ২৭৩৪ ডলার।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অপর নাম বঙ্গবন্ধু। তাঁর আদর্শকে ভেতরে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বলতে আমি বুঝি অগাধ দেশপ্রেম আর অপরিসীম আত্মত্যাগ।’

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গান, নৃত্য, কবিতা ও নাটিকা পরিবেশন করে।