গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১ লা ফাল্গুন ১৪২৯, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসী বিভাগ আয়োজন করে "বসন্ত বরণ ও পিঠা পার্বণ, নবীন বরণ, ফার্মা বি ক্লাব দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান"। উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ওসমান গনি তালুকদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে ছিলেন ফার্মেসী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. তারান্নুম নাজ। উপস্থিত ছিলেন ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, এবং প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ। সারাদিন ব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে। সকাল ৯:৩০ মিনিটে বর্নাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মোট ৬ টি স্টলে ছিলো বাহারি পিঠা, ঐতিহ্যবাহী খাবার, মেহেদী ও ফুলের অলংকারের বর্নিল সমাহার। সারাদিন ব্যাপী চলে এই পিঠা উৎসব। স্থায়ী ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে সকাল ১০:৩০ মিনিটে। স্প্রিং ২০২৩ সেশনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ, ফার্মা বি ক্লাব ১৫ তম এক্সিকিউটিভ কমিটি কে সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যেমে বিদায় ও ১৬ তম এক্সিকিউটিভ কমিটিকে ফুল দিয়ে বরণ ছিলো এই আয়োজনের অন্যতম বিষয়। সেই সাথে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী কে বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ওসমান গনি তালুকদার তার বক্তব্যে বলেন, "সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। সুতরাং পরিপূর্ণ ভাবে শিক্ষিত হতে আগে এর অর্থ বুঝতে হবে।" বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল বলেন, "আজ যারা নতুন এসেছে এই শিক্ষাঙ্গনকে সাজাতে তাদের জন্যই এই অনুষ্ঠান । তারা যেন মুখরিত করে রাখতে পারে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। সারাদেশে যেন সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারে এই প্রতিষ্ঠানের। প্রতিটি দিন তোমাদের শুভ হোক"
বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. তারান্নুম নাজ তার বক্তব্যে বলেন, "একজন ফার্মাসিস্ট বহুমুখী কাজের দায়িত্বে থাকেন। তাই বর্তমানে কদর বাড়ছে ফার্মেসী গ্র্যাজুয়েটদের। এই বিভাগ থেকে শিক্ষা অর্জন করে নিজেকে সত্যিকার অর্থে মানবসেবায় নিয়োজিত করতে পারাটাই আমাদের জীবনের স্বার্থকতা।" সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যেমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।