সাফল্য আর গৌরবের ইতিহাস নিয়ে ১২ বছরে পদার্পণ করলো বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তরবঙ্গের জনগণকে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিগত বছরের ন্যায় এবছরও দিবসটি উদযাপন করেছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ভবনে মুক্ত আলোচনা ও কেক কেটে দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান, ইইই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল গোফ্ফার খান, আইন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, সাংবাদিকতা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. শাতিল সিরাজ, ফার্মেসী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. তারান্নুম নাজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মো. হাবিবুল্লাহ এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কম্পিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কম্পিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে অর্জন করে দ্বিতীয় স্থান।
রাজশাহী পবায় বাইপাস রোডে (খড়খড়িতে) প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বছরই নিজস্ব ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বছরে দুই সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-জুন), সামার (জুলাই-ডিসেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৪ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।