বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আমেরিকান কর্নার রাজশাহী উদ্বোধনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আমেরিকান কর্নার রাজশাহী উদ্বোধনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

রাজশাহীতে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আমেরিকান কর্নার রাজশাহী উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে পিটার ডি হাস আমেরিকান কর্নার চত্বরে এসে পৌঁছান। শুরুতেই তিনি ফিতা কেটে ‘আমেরিকান কর্নার’ উদ্বোধন করেন।

তার আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। রাষ্ট্রদূতকে বরণ করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের সম্মানিত সদস্য মোহাম্মদ আলী দ্বীন এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, নির্বাহী পরিচালক শামীম আহসান পারভেজ, রেজিষ্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, আমেরিকান কর্নার রাজশাহী-র সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর ফাহমিদা আক্তারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আমেরিকান কর্নার মূলত বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির সঙ্গে আমেরিকার ডেমোক্রেসি শেয়ার করে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে আমেরিকান কর্নার রয়েছে। শিক্ষানগরী এবং ঐতিহ্যবাহী রাজশাহীতেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে এটি চালু হলো। এর মাধ্যমে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য খুব সহজে পাবে। শিক্ষা এবং ক্যারিয়ারের জন্য এ কর্নার শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কার্যকর। কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য যাওয়া যেতে পারে, তা এখান থেকে জানা যাবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের বই, ম্যাগাজিন ও খবরের কাগজে পরিপূর্ণ একটি তথ্যকেন্দ্র।

শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অনবদ্য ও প্রাণবন্ত এই কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র এক্সচেঞ্জ কর্মসূচির প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়েছিল।

আমেরিকান কর্নারকে বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে বই, ডিজিটাল উপকরণ, মালটিমিডিয়া বিষয়বস্তু ও অনলাইন ডেটাবেজসহ ব্যাপক ও বিস্তৃত পরিসরের বিষয়াদি ব্যবহারকারীদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থী, গবেষক ও উৎসাহী ব্যবহারকারীরা তাদের জ্ঞানের জগতকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হতে পারেন এবং তারা শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে এমন প্রকল্পগুলোতে সম্পৃক্ত হতে পারেন।

আমেরিকান কর্নার উদ্বোধনের পর পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশে ৫টি আমেরিকান কর্নারে এক হাজার ৬০০ কর্মসূচির আওতায় চার লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। যার লক্ষ্য জ্ঞান বিনিময়। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের বিস্তার ঘটানো এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক জোরদার করা।

তিনি বলেন, আমেরিকান কর্নার কার্যক্রমের সূচনালগ্ন থেকেই জ্ঞানের বিস্তার ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে স্থানীয়দের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আমেরিকায় উচ্চতর ডিগ্রী নিতে নানা সুযোগ সুবিধা পান।