আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুন্ঠিত কুন্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে।
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীতমুখরিত গগনে...
শীতের জীর্ণতাকে ঝেড়ে ফেলে রূপের পসরা সাজিয়ে বসেছে প্রকৃতি। আবারও এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। বাসন্তী বাতাসে উদ্বেলিত প্রতিটি প্রাণ। বসন্তের এই উচ্ছ্বাসকে হৃদয়ে ধারণ করে"প্লাস্টিক পণ্য বর্জন, টেকসই উন্নয়ন অর্জন" স্লোগানে পহেলা ফাল্গুন বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব, ১৪৩০ উদযাপন করেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। সকাল ১০টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্লাজা থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ। উদ্বোধনী র্যালিতে অংশ নেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারমিতা জামান এবং বিভাগে দায়িত্বরত সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। বসন্ত উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিভাগে অধ্যয়নরত একদল তরুণ শিক্ষার্থীর পরিচালনায় বাহারি নকশা ও স্বাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলিসমৃদ্ধ সতেরটি স্টল। শিক্ষার্থীদের পিঠার স্টল পরিদর্শন করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফায়জার রহমান৷
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যাম্পাস প্লাজা মুখরিত হয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
বসন্ত উৎসবের ইতি টানা হয় পুরষ্কার বিতরণীর মাধ্যমে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অভিভাবক, বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ সেরা স্টলের পুরস্কার প্রদান করেন। একইসাথে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকৃত প্রতিটি স্টলের প্রতিনিধিদের হাতে বিভাগের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্মারক ও সম্মানী তুলে দেয়া হয়৷ উৎসবের প্রতিটি পর্বজুড়ে পরিবেশের টেকসই উন্নয়নের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস ছিল নজরকাড়ার মতো ।
আসন্ন বছরজুড়ে সবার জীবনে বসন্তের সুবাতাস বয়ে চলুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উম্মে সালমা (আহবায়ক), হেলেন জামান, ও সুমাইয়া তামান্না।
নির্বিশেষে বিভাগের দায়িত্বরত অন্যন্য শিক্ষকমণ্ডলীর এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অকুন্ঠ সহযোগীতা ও নিরলস পরিশ্রম অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।