বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক বার্ষিক বনভোজন আয়োজিত

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক বার্ষিক বনভোজন আয়োজিত
বসন্তকালের পরিষ্কার ঝকঝকে সকালে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ব নির্ধারিত পিকনিক স্পট বগুড়ার মমো ইন ইকো পার্কে যাত্রার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে যথাসময়ে এসে উপস্থিত হয়। চলতি বছরের বিশেষ দিন তথা লীপ ইয়ারের জন্য গত ২৯ ফেব্রুয়ারির দিনটিতে তারা তাদের সকল সেমিস্টারের প্রায় ১৮০ জন শিক্ষার্থী এবং ১২ জন শিক্ষক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ও বাইরে থেকে ভাড়াকৃত দুইটি বাস সহযোগে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় সকাল ৮টায়। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে দক্ষিণের মৃদুমন্দ বাতাস এবং রাস্তার দুই ধারের পলাশ, শিমুল ও কৃষ্ণচূড়ার লাল সবুজাভ ফুলের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে তারা তাদের চড়ুইভাতির ভ্রমণ অব্যাহত রাখে। পথিমধ্যেই তাদের নাস্তা সম্পন্ন হয়। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টার যাত্রা শেষে তারা পৌঁছে যায় তাদের কাঙ্খিত স্পটে। সেখানে আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের বিশ্রামের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা ছিলো। সাধারণভাবে দেখতে গেলে বনভোজনের অর্থ হলো বনে গিয়ে ভোজন। বর্তমানে বনে গিয়ে ভোজন করার রীতি বদলালেও বনভোজনের নাম, চরিত্র ও তাৎপর্য একেবারেই বদলায়নি। এমনকি ইকো পার্কও বেশ প্রকৃতিবান্ধব হওয়ায় মনে হচ্ছিলো যেন তারা বনে গিয়েই ভোজন করছে! শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে উপভোগ করে পুরো ইকো পার্কের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য। ঘুরতে ঘুরতে সকলের ক্ষুধা লেগে যাওয়ায় তারা তাদের মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফেলে দুপুর ২টার মধ্যেই। মধ্যাহ্নভোজ শেষে শুরু হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, বিভিন্ন ধরনের মজার খেলাধুলার আয়োজন, সাথে পুরস্কার পর্ব এবং সকলের অতি আকাঙ্খিত ২২টি আকর্ষণীয় পুরস্কার সম্বলিত র‍্যাফেল ড্র। সার্বিক আয়োজন শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যা ৬টায়। আইন ও মানবাধিকার বিভাগের সম্মানিত বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আ ন ম ওয়াহিদ স্যারের পৃষ্ঠপোষকতায় পিকনিক কমিটির আহবায়ক মো: রায়হানুজ্জামান সোহান স্যারের সফল দিক নির্দেশনায় সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেদিনের তাদের বনভোজনের আয়োজন। এমনকি বিভাগীয় প্রধান আ ন ম ওয়াহিদ স্যারের সার্বক্ষনিক উপস্থিতি এবং সকল ধরনের খেলাধুলায় স্যারের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাদের আয়োজনকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলেছিলো।