বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

গত ২১ ফেব্রুয়ারি’২০১৯ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। 

সকাল ৮ টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ভবন থেকে প্রভাতফেরি বের হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। 

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা ভবন প্রাঙ্গনে কর্মসূচীর দ্বিতীয়পর্বে আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য  প্রফেসর ড. রাশিদুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা  প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. তারিক সাইফুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার ড. মো. মহিউদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আকরাম হোসেন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর   শহিদুর রহমান, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড.  মো. আল মামুনসহ বিভিন্ন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।
 
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ও আলোচকগণ একটি জাতি বা গোত্রের জন্য মাতৃভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কতটুকু গুরুত্ব বহন করে সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রফেসর ড.এম. সাইদুর রহমান খান তাঁর বক্তব্য প্রদানের সময় ১৯৯৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভের আশায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসাবে যে সকল উল্লেখযোগ্য ঘটনার সম্মুখিন হোন তার বর্ণনা দেন। তিনি দু’জন মানুষের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যারা ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে বিশ্বায়নের চিন্তা করেন সর্বপ্রথম। তাঁরা হলেন কানাডা প্রবাসী জনাব রফিকুল ইসলাম এবং জনাব আব্দুস সালাম।  প্রফেসর ড.এম. সাইদুর রহমান খান এ দু’জন মানুষের এরূপ সু-চিন্তাকে কৃতজ্ঞচিত্তে সাধুবাদ জানান।

আলোচনাপর্ব শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে আয়োজিত একুশের কবিতা লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ী লেখক ও ছবির কবিদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তার অংশগ্রহণে একুশভিত্তিক মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে  অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।