বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

গত ১৭ই মার্চ ২০১৯ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তার কাজলা ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম  জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করে। তার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতা, সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, কেক কাটা এবং পথশিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অনুষ্ঠানটির সভাপতি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের  রেজিস্ট্রার ড. মো. মহিউদ্দীন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ফার্মেসী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. একরামুল ইসলাম, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. আল মামুনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রফেসর ড. রাশিদুল হক তাঁর বক্তব্যে বাঙ্গালীর আরো অনেক বিখ্যাত নেতাদের সাথে তুলনামূলক আলোচনায় বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুকাল থেকেই ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং প্রতিবাদী। অন্যায়কে কখনোই তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। তিনি ছিলেন একাধারে সাহসী, নি:স্বার্থ, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়ীক, উদার ও জাতীয়তাবাদী। জাতির জনকের সাহসিকতার উপর ভর করেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরকম মহান মানুষের জন্মদিন পুরো জাতির জন্যই গৌরবের ও আনন্দের।”

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেওয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করে থাকেন।

আলোচনা শেষে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ সেমন্তির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এরপর কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত বই উপহার দেয়া হয়। শেষে জন্মদিনের কেক কটে ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।