১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৩ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তার কাজলা ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপদেষ্টা ড. এম. সাইদুর রহমান খান। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. তারিক সাইফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শহিদুর রহমান, ইইই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম মন্ডলসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। ড. এম. সাইদুর রহমান খান তাঁর বক্তব্যে বাঙ্গালীর আরো অনেক বিখ্যাত নেতাদের সাথে তুলনামূলক আলোচনায় বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং প্রতিবাদী। অন্যায়কে কখনোই তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। তিনি ছিলেন একাধারে সাহসী, নি:স্বার্থ, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়ীক, উদার ও জাতীয়তাবাদী। জাতির জনকের সাহসিকতার উপর ভর করেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেওয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করে থাকেন।